GBP/USD পেয়ারের মূল্য মুভিং এভারেজ লাইনের উপরে অবস্থান করছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে স্থানীয় পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনও বিদ্যমান রয়েছে। তবে, আমরা বারবার উল্লেখ করেছি যে এই পর্যায়ে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য যেকোনো বৃদ্ধি কেবল একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে, এবং আমরা এখনও একই ধারণা করছি। টানা দুই মাসের দরপতনের পরে, কেবলমাত্র সাময়িকভাবে দরপতনে বিরতি দেখা যাচ্ছে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, কারেকশন ভিত্তিক মুভমেন্ট কয়েক সপ্তাহ বা এমনকি কয়েক মাস ধরে স্থায়ী হতে পারে, কারণ এগুলো সাধারণত প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্টের তুলনায় ধীর এবং কম গতিশীল হয়। সহজভাবে বলতে গেলে, মূল্যের দ্রুত বৃদ্ধি বা হ্রাসের পর কারেকশন বা ফ্ল্যাট ও সাইডওয়েজ মুভমেন্টের সাথে কনসলিডেশন হয়। বড় ট্রেডাররা সাধারণত এই সময়গুলো ব্যবহার করে পরবর্তী উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের আগে পজিশন ওপেন করে।
যদি আপনি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেডিং না করেন, যখন দ্রুত পজিশন ওপেন এবং ক্লোজ করা হয়, তাহলে সাধারণভাবে বড় ট্রেডারদের কৌশল অনুকরণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। অবশ্যই, কোন ট্রেডারই তাদের কর্মকাণ্ডের পূর্বাভাস দিতে পারে না বা মূল্য তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী মুভমেন্ট প্রদর্শন না করা পর্যন্ত কয়েক সপ্তাহ ধরে পজিশন হোল্ড করে রাখতে পারে না। তবে, এটাই ফরেক্স মার্কেট, যেখানে ব্যক্তিগত প্রত্যাশার কোন মূল্য নেই। বর্তমানে সহজেই ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে বা সামান্য ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন হতে পারে। তবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, যখন সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে দীর্ঘমেয়াদী বিয়ারিশ প্রবণতার ধারাবাহিকতা দেখা যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য ইতোমধ্যেই দৈনিক টাইমফ্রেমে ক্রিটিক্যাল লাইনে পৌঁছেছে, যেখান থেকে মূল্যের রিবাউন্ড হতে পারে।
আমরা এখনও মনে করি যে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হবে। তবে, দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে: যদি ফেডারেল রিজার্ভ মূল সুদের হার 0.5% কমায়, তাহলে এটি মার্কিন ডলারকে উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল করতে পারে। সেইসাথে যদি ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অপ্রত্যাশিতভাবে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে, তবে এটি পাউন্ডকে সমর্থন করতে পারে। তবে, মার্কেটের ট্রেডারররা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কাছ থেকে সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা করছে না এবং ফেডের সুদের হার 0.25% হ্রাসের প্রত্যাশা করছে। এই ধরনের পরিস্থিতি ইতোমধ্যেই কয়েক সপ্তাহ ধরে মূল্যায়ন করা হয়েছে। FOMC-এর বেশ কয়েকজন সদস্য বারবার উল্লেখ করেছেন যে তারা কোনো তাড়াহুড়ো করবেন না, যা ফেডের সুদের হার 0.5% হ্রাসের সম্ভাবনাকে অত্যন্ত কমিয়ে দিয়েছে। একইভাবে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি সম্প্রতি আগামী বছরে চারবার সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা উল্লেখ করেছেন, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কঠোর অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনাকে দুর্বল করেছে।
আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির খুব বেশি সম্ভাবনা নেই। যেভাবেই পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করি না কেন, শীঘ্রই স্টার্লিংয়ের দর বৃদ্ধির জন্য কোনো শক্তিশালী কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। তবে, ট্রেডাররা 24-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে কিজুন সেন লাইনটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। যদি মূল্য এই লাইনের উপরে চলে যায়, তবে আরও কারেকশনের প্রত্যাশা করা যেতে পারে। যদিও আমরা এই মুহূর্তে পাউন্ড ক্রয়ের পরামর্শ দিচ্ছি না, কারণ বর্তমান মুভমেন্টটি সম্পূর্ণরূপে কারেকটিভ, তবে মনে রাখতে হবে যে এই কারেকশন আরও এক মাস স্থায়ী হতে পারে।
গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি হচ্ছে 73 পিপস, যা "গড়পরতা" হিসাবে বিবেচনা করা যায়। ১১ ডিসেম্বর বুধবার আমরা আশা করছি যে 1.2684 এবং 1.2830 এর মধ্যে এই পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেলটি নিম্নমুখী হচ্ছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের বিদ্যমান নিম্নমুখী প্রবণতা নির্দেশ করে। CCI সূচকটি একাধিকবার বুলিশ ডাইভারজেন্স তৈরি করেছে এবং বেশ কয়েকবার ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে, যা নির্দেশ করে যে কারেকশন এখনও চলমান রয়েছে, যদিও এর স্থায়িত্বের পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন।
নিকটতম সাপোর্ট লেভেল:
- S1: 1.2695
- S2: 1.2573
- S3: 1.2451
নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল:
- R1: 1.2817
- R2: 1.2939
- R3: 1.3062
ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, যদিও কারেকশন অব্যাহত রয়েছে।আমরা এই মুহূর্তে লং পজিশন বিবেচনা করছি না, কারণ আমরা মনে করি যে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করতে পারে এমন সম্ভাব্য সমস্ত কারণের ভিত্তিতে ইতোমধ্যেই মার্কেটে মূল্য নির্ধারিত হয়েছে। বিশুদ্ধ" প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ট্রেড করলে, এই পেয়ারের মূল্য মুভিং এভারেজ লাইনের উপরে থাকলে 1.2817 এবং 1.2830 এর লক্ষ্যমাত্রায় লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে, বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে শর্ট পজিশনই বেশি প্রাসঙ্গিক, যেখানে মূল্য মুভিং এভারেজ লাইন ব্রেক করে নিচের দিকে গেলে এবং কনসলিডেট হলে 1.2573 এর লক্ষ্যমাত্রায় শর্ট পজিশন নেওয়া যেতে পারে। সম্ভবত নিকটতম মেয়াদে এই পেয়ারের মূল্য বৃহত্তর প্রবণতা এবং কারেকশন দ্বারা প্রভাবিত হতে থাকবে।
চিত্রের ব্যাখা:
- লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল - বর্তমান প্রবণতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যদি উভয়ই একই দিকে পরিচালিত হয়, তাহলে এর অর্থ হল বর্তমানে প্রবণতা শক্তিশালী।
- মুভিং এভারেজ লাইন (সেটিংস 20.0, স্মুথেদ) – স্বল্পমেয়াদী প্রবণতা এবং বর্তমানে কোন দিকে ট্রেডিং করা উচিত তা নির্ধারণ করে।
- মারে লেভেল - মুভমেন্ট এবং কারেকশনের লক্ষ্য মাত্রা।
- অস্থিরতার মাত্রা (লাল লাইন) - সম্ভাব্য প্রাইস চ্যানেল যেখানে এই পেয়ারের মূল্য পরের দিন অবস্থান করবে, যা বর্তমান অস্থিরতা সূচকের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।
- সিসিআই সূচক – এই সূচকের ওভারসোল্ড জোনে (-250-এর নীচে) বা ওভারবট জোনে (+250-এর উপরে) প্রবেশের মানে হল যে চলমান প্রবণতা বিপরীতমুখী হতে যাচ্ছে।