শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট লক্ষ্য করা গেছে, যেটি হওয়া উচিত ছিল না। বুধবার সন্ধ্যায় FOMC-এর বৈঠকের ফলাফল প্রকাশের পর পাউন্ডের দরপতন হয়েছিল—যা একটি যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া। বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের পর পাউন্ডের মূল্য আবারও নিম্নমুখী হয়েছিল—এটিও প্রত্যাশিত ছিল। তবে, বৃহস্পতিবার সকালে এবং শুক্রবার কেন পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে তা বোঝা বেশ কঠিন। এটি সম্ভবত সম্পূর্ণরূপে একটি টেকনিক্যাল কারেকশন হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে, আগামী সপ্তাহে এই দরপতন পুনরায় শুরু হওয়া উচিত, এবং পাউন্ডের মূল্য সম্ভবত 1.2502 লেভেলের নিচে নেমে যেতে পারে।
শুক্রবার যুক্তরাজ্যে রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। নভেম্বর মাসে এই সূচক 0.2% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা প্রত্যাশার তুলনায় বেশ কম। সুতরাং, এই প্রতিবেদন পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারেনি। একইভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনও মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি, ফলে মার্কিন ডলারের এই তীব্র দরপতনের কোন যৌক্তিকতা ছিল না।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5-মিনিট টাইমফ্রেমে:শুক্রবার তিনটি সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথম দুটি সিগন্যাল কার্যকর চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রথমে, মূল্য প্রায় পাঁচ ঘণ্টা 1.2502–1.2508 এরিয়ায় সুইং মুভমেন্ট প্রদর্শন করে এবং তারপর আরও কয়েক ঘণ্টা 1.2547 লেভেলের কাছাকাছি স্থিতিশীল ছিল। উভয় ক্ষেত্রেই বাই সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত মূল্য 1.2613-এ পৌঁছায়, যেখানে মুনাফার সাথে লং পজিশন ক্লোজ করা যেতে পারত। 1.2613 লেভেলের কাছাকাছি একটি সেল সিগন্যালও তৈরি হয়েছিল, যা দৈনিক এবং সাপ্তাহিক ট্রেডিংয়ের শেষে নতুন ট্রেডারদের জন্য মুনাফা নিয়ে আসতে পারত।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন সম্পন্ন হয়েছে। আমরা মধ্যমেয়াদে পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি, কারণ আমাদের মতে এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। তবে, এটি মনে রাখা উচিত যে, দরপতনের ক্ষেত্রে পাউন্ড স্টার্লিং মার্কিন ডলারের বিপরীতে উচ্চ প্রতিরোধ প্রদর্শন করে। ফলে, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করা হলেও, ট্রেডারদের টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর নির্ভর করা উচিত। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং FOMC-এর বৈঠকের ফলাফল অনুযায়ী এই পেয়ারের মূল্যের আরও বিয়ারিশ প্রবণতা দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এটি স্পষ্ট যে পাউন্ডের মূল্য প্রায়ই অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি পায়।
সোমবারের পূর্বাভাস অনুযায়ী সোমবার পুনরায় GBP/USD পেয়ারের দরপতন শুরু হতে পারে। যদিও নতুন করে কারেকটিভ মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে, ত বে 1.2387 লেভেলের দিকে দরপতনের সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে হচ্ছে।
5-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য লেভেলগুলো হল: 1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993।
সোমবার যুক্তরাজ্যে তৃতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদনের তৃতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, যেটির ফলাফল পাউন্ডের পক্ষে করবে বলে মনে হচ্ছে না। ব্রিটিশ অর্থনীতি ধীরে ধীরে শূন্য প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে চলেছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।